রাশিয়ায় হামলা চালালো কারা?
সম্প্রতি রাশিয়ার কয়েকটি জ্বালানী কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ ইউক্রেনের সীমান্ত ঘেঁষা রাশিয়ার বেলগ্রড অঞ্চলে একটি সশস্ত্র বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ক্রেমলিন থেকে তাদের ইউক্রেনের চরমপন্থি বা 'সাবোটিওরস' নামে ডাকা হচ্ছে। যদিও ইউক্রেন বলছে এরা দুটি আধা সামরিক বাহিনীর রুশ নাগরিক। বোঝাই যাচ্ছে, অভিযোগের আঙ্গুল ইউক্রেনের দিকে হলেও এ দায় তারা নিচ্ছে না।
এদিকে, রাশিয়া বলছে, দুই দিনের সশস্ত্র যুদ্ধের পর ঐ দলের অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে তাদের সেনা বাহিনী। সম্প্রতি মস্কো হামলাকারী বাহিনীর একটি বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যানের ছবিও প্রকাশ করেছে। অবশ্য 'হামভি' নামের সেই সাঁজোয়া যানের ছবি প্রকাশের পর নতুন এক প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে। বিধ্বস্ত সেই সাঁজোয়া যানটি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। তাহলে বেলগোরোদ অঞ্চলে হামলার পেছনে ইউক্রেনকে ইন্ধন জুগিয়েছে আমেরিকা? বাইডেন প্রশাসন এমন অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ বলেছেন, বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যানটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হলেও প্রকাশিত এসব ছবির কোন সত্যতা নেই।অবশ্য রাশিয়ার অভ্যন্তরে এসব হামলার পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মদদ আছে কিনা তা পরিষ্কার না হলেও ইউক্রেনকে যে আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলো অস্ত্র দিয়ে সহযোগিতা করছে তা তো পরিষ্কার। কিন্তু এরপরও নাকি ইউক্রেন শেষ রক্ষা করতে পারবে না বলেই মনে করেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান।
দোহাতে কাতার ইকনোমিক ফোরামে দেয়া এক বক্তব্যে সম্প্রতি তিনি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেন সেনারা জিততে পারবে না। ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধের ইতি ঘটতে পারে একমাত্র কূটনীতির মাধ্যমে। অবশ্য ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রায় সময়ই পশ্চিমা মিত্রদের বিরুদ্ধে তাকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তার রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। হাঙ্গেরি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো জোটের সদস্য হলেও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ভারসাম্যমূলক অবস্থানের কৌশল নিতে দেখা গেছে ভিক্টর ওরবানকে।
এদিকে, ইউক্রেনকে পশ্চিমা দেশগুলোর অস্ত্র সহায়তায় নাখোশ রাশিয়া বরাবরই তাদের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি সেই সুরে সুর মিলিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও পুতিনের মিত্র হিসেবে পরিচিত দিমিত্রি মেদভেদেভ।
ভিয়েতনাম সফরকালে সতর্ক করে তিনি বলেছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে যত অস্ত্র দেবে, 'পারমানবিক বিপর্যয়ের' আশঙ্কা ততোই বেড়ে যাবে। ইউক্রেনকে যত বেশি অস্ত্র দেওয়া হবে, বিশ্ব তত বেশি ভয়ঙ্কর অবস্থার দিকে যাবে। বিশ্বের অন্যতম পারমাণবিক শক্তিধর রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের মাধ্যমে পশ্চিমা দেশগুলো একটি 'পরোক্ষ যুদ্ধে' জড়িয়ে পড়ছে বলে বরাবরই দাবি মস্কোর। যা আরও বড় যুদ্ধের দিকেই ঠেলে দিচ্ছে বলে সতর্ক করে আসছে ক্রেমলিন। পুতিন বাহিনীকে ঠেকাতে মার্কিন এবং পশ্চিমা অস্ত্রের ব্যবহার ইউক্রেনের মাটিতে হলেও সম্প্রতি তা রাশিয়ার ভূখণ্ডে মেলায় সেই আশঙ্কাই কি সত্যি হচ্ছে?আপনি কি মনে করেন? কমেন্টে জানান। পোস্টটি লাগলে লাইক দিন, শেয়ার করুন। নিয়মিত দেখতে থাকুন আন্তর্জাতিক ঘটনা প্রবাহ নিয়ে তথ্যবহুল সব পোস্ট, ধন্যবাদ।







মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন