পোস্টগুলি

মে, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

এ জগৎ তোমার নয় (পর্ব- ৩)

ছবি
  প্রস্তাবনা পর্ব - ৩      দিন যত গড়াতে থাকবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে গ্রাস করা ডার্ক সাইড ক্রমে তার আসল রূপ মানুষকে চেনাতে শুরু করবে। যদিও সবার পক্ষে তা অনুধাবন করা সম্ভব হবে না। বরং ডার্ক সাইড কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে পরাজিত অধিকাংশ মানুষ ক্রমেই সুপার কম্পিউটারের আয়ত্তাধীন হয়ে পড়বে। তবে কয়েক জন বাদে! মূল গল্প…  এদেরই একজন দিপা। বাংলাদেশে কম্পিউটার টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করা এক তরুণী তার নিজের অধ্যাবসার মাধ্যমে প্রথমে কিছুটা আন্দাজ করতে পারে। কিন্তু সবার মতো সেও ডার্ক সাইডের প্ল্যানমাফিক নানা সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টের কাজে জড়িত থাকে। অসম্ভব মেধাবী এই তরুণী এক সময় উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকার ভার্জিনিয়াতে স্কলারশিপ পায়। যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার পর প্রথম ছয় মাস তার কেটে যায় নতুন পরিবেশে, নতুন শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে। এসময়ে নিজের পড়ার আর প্র্যাক্টিক্যালের বাইরে কোনোদিকেই নজর দিতে পারেনি সে। নতুন সিলেবাসে অভ্যস্ত হওয়ার পাশাপাশি ভার্জিনিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য তাকে চার মাস আগে মনের কোনে দেখা দেওয়া ছোট্ট প্রশ্নটিকে আর সামনে আনতে দেয়নি। হয়তো দিতোও না! কিন্...

কোন পথে ইমরানের ভাগ্য?

ছবি
সামরিক গোষ্ঠীকে খেপিয়ে হয়রানির শিকার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান এখন অনেকটাই কোণঠাসা। অবশ্য তার অগুনিত কর্মী সমর্থক আর বিচার বিভাগ এখনও তাকে ছেড়ে যায়নি। কিন্তু তার চলমান যে বেগতিক অবস্থা, সেটি তাকে কোথায় নিয়ে চলেছে তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুদিন।  সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশ ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আলোচনার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে প্রস্তাব রেখেছিলেন ইমরান খান। তবে সেই আলোচনার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে টুইট করে জানিয়েও দিয়েছেন ক্ষমতাসীন দল পিএমএলের প্রধান ও সরকার প্রধান শেহবাজ শরিফের ভাই নওয়াজ শরিফ। টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘রাজনীতিবিদের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু যারা জঙ্গি ও দাঙ্গাবাজ, যারা সরকারি ভবনে আগুন দেয়, শহিদের মূর্তি ভেঙে ফেলে তাদের সঙ্গে কোন কথা হবে না।’  সেনাবাহিনী তো আছেই, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন দল পিএমএল যেভাবে ইমরান খানের পেছনে লেগেছে তাতে একেবারেই স্বস্তিতে নেই ইমরান খান। সম্প্রতি লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি ঘোষণাও দিয়েছেন, ‘যদি তাকে অযোগ্য ঘোষণাই...

এ জগৎ তোমার নয় (পর্ব- ২)

ছবি
প্রস্তাবনা  পর্ব - ২       বাণিজ্যিক কারণে দীর্ঘদিন মানুষের মন ও তার চেতনাকে অনুসরণ করার পর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে সরাসরি যোগস্থাপনের জন্য গবেষকেরা উদ্ভব করেন চ্যাট জিপিটি’র মতো মাধ্যমকে। উদ্দেশ্য, এরফলে যাতে মানুষ ভার্চুয়াল জগতের সঙ্গে যোগাযোগ ও সময় বৃদ্ধির পাশাপাশি এর সুফলও পেতে পারে।  এই মাধ্যম ব্যবহার করে মানুষ একদিকে যেমন নানা প্রশ্নের মাধ্যমে বিনোদন ভিত্তিক সময়ক্ষেপণ করতে পারবে, তেমনই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ডাটাবেজ ব্যবহার করে নানা সাধারণ প্রশ্নের উত্তর খোঁজার পাশাপাশি জটিল বিষয়ের সমাধানও পাবে। যেমন, কোনো জটিল প্রোগ্রামের রেডিমেড সূত্র, কোনো জটিল হিসেব-নিকেশ ইত্যাদি। চ্যাট জিপিটি প্রথমদিকে কিছুটা দুর্বল সেবা দিলেও মানুষেরই কল্যাণে ধীরে ধীরে হয়ে উঠতে থাকে নিখুঁত আর বুদ্ধিবৃত্তিকতার দিক থেকে শক্তিশালী।তবে সব ভালো বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে মন্দ বিষয়েরও যোগ আছে। শুধু মানুষের সময় ক্ষেপণ আর কাজের সুবিধার উদ্দেশ্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এই সেবাকে সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হলেও এর নেতিবাচক দিকটি ক্রমেই প্রকাশ পেতে থাকে। কিভাবে?  প্রথম দিকে মজার ছলে মানুষ নানা...

এ জগৎ তোমার নয়

ছবি
প্রস্তাবনা            একবিংশ শতাব্দীতে এসে মানুষ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় এগিয়ে যায় অনেক। শতাব্দীর গোড়ার দিকেই মানুষ তৈরি করে সুপার কম্পিউটার। যা এক সময় কল্পনার অতীত ছিল, বাস্তবে তাই সম্ভব করে মানুষ। কিন্তু সেই কল্পনার মধ্যে একটি ভয়ের ব্যাপারও ছিল যা নিয়ে তখন মানুষ তেমন একটা মাথা ঘামায়নি। কি সেটা? সেটা ছিল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার হুমকি হয়ে ওঠার বিষয়।  সুপার কম্পিউটার দিয়ে মানুষ তার দৈনন্দিন এবং ভবিষ্যতের সেবার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাতে থাকে। একটা সময় আসে যখন সে সব তৈরিতে মানুষ নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকেই কাজে লাগাতে থাকে। কেননা, গবেষণার গোড়ার দিকে মানুষের বুদ্ধিবৃত্তিকে পর্যবেক্ষণ করার কাজে সুপার কম্পিউটারকে লাগানো হয়। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল মার্কেটিং ও বাণিজ্য। মানুষের মনের জানালা ধরে প্রত্যেকের ইচ্ছা-অনিচ্ছা, আগ্রহ, চিন্তাধারা বোঝার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করা হয় যাতে বাণিজ্যিক দিকটি অনেক আধুনিক ও সহজ হয়ে যায়। মনকে অনুসরণ করতে গিয়ে এক সময় মানুষের ইচ্ছা-অনিচ্ছা বোঝার পথও বের করে ফেলে সুপার কম্পিউটার। গবেষকেরা একে স...

রাশিয়ায় হামলা চালালো কারা?

ছবি
          সম্প্রতি রাশিয়ার কয়েকটি জ্বালানী কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি স্থানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবশেষ ইউক্রেনের সীমান্ত ঘেঁষা রাশিয়ার বেলগ্রড অঞ্চলে একটি সশস্ত্র বাহিনী হামলা চালিয়েছে।  ক্রেমলিন থেকে তাদের ইউক্রেনের চরমপন্থি বা 'সাবোটিওরস' নামে ডাকা হচ্ছে। যদিও ইউক্রেন বলছে এরা দুটি আধা সামরিক বাহিনীর রুশ নাগরিক। বোঝাই যাচ্ছে, অভিযোগের আঙ্গুল ইউক্রেনের দিকে হলেও এ দায় তারা নিচ্ছে না। এদিকে, রাশিয়া বলছে, দুই দিনের সশস্ত্র যুদ্ধের পর ঐ দলের অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করেছে তাদের সেনা বাহিনী। সম্প্রতি মস্কো হামলাকারী বাহিনীর একটি বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যানের ছবিও প্রকাশ করেছে। অবশ্য 'হামভি' নামের সেই সাঁজোয়া যানের ছবি প্রকাশের পর নতুন এক প্রশ্ন উঁকি দিয়েছে। বিধ্বস্ত সেই সাঁজোয়া যানটি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি। তাহলে বেলগোরোদ অঞ্চলে হামলার পেছনে ইউক্রেনকে ইন্ধন জুগিয়েছে আমেরিকা? বাইডেন প্রশাসন এমন অভিযোগ সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ বলেছেন, বিধ্বস্ত সাঁজোয়া যানটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি হলেও প্রকাশিত এসব ছবির কোন সত্যতা নেই।...