পোস্টগুলি

জুন, ২০২৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

This World is not yours | Part. 1

ছবি
Episode 1 Induction In the 21st century, people have made a lot of progress in artificial intelligence. At the turn of the century, humans created supercomputers. What was once the past of the imagination, in reality, people make it possible. But there was also a fear in that fantasy that people didn't care about at the time. What is it? It was about artificial intelligence becoming a threat.  With supercomputers, people continue to use artificial intelligence to make their daily and future service arrangements easier. There comes a time when he uses artificial intelligence, not humans, to create them. Because, at the beginning of research, supercomputers were used to monitor human intelligence. Its main purpose was marketing and commerce. Artificial intelligence is used to understand everyone's desires, interests, thoughts through the window of the human mind so that the commercial aspect becomes much more modern and easy. While following the mind, the supercomputer also finds...

এ জগৎ তোমার নয় | পর্ব - ৮

ছবি
  ৬. একজন বিদেশির নিখোঁজের ঘটনাকে গুরুত্বের সঙ্গেই নিলো ভার্জিনিয়া পুলিশ। দিপার সেদিনের গতিবিধি তন্ন তন্ন করে খতিয়ে দেখার চেষ্টা করলো পুরো ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু যে বিষয়টি তাদের আশ্চর্য করলো তা হলো, ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে দিপার কোনো ট্রেস তারা খুঁজে বের করতে পারলো না। মোবাইলের নেটওয়ার্ক ছাড়া আর কোনো সূত্রই তাদের কাছে নেই। সেটাও থাকতো না, সম্ভবত কোনো কারণে স্মার্টফোনটিতে টাইমার সেট করা ছিল। নিখোঁজের দিন দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে মোবাইল সেটটি অফ ছিল; কিন্তু টাইমার সেট থাকায় ঠিক ১২ ঘণ্টা পর সেটটি অটোমেটিক অন হয়ে যায়। ব্যাটারির চার্জ পরদিন পর্যন্ত টিকে থাকাতে পুলিশের পক্ষে সেটির সন্ধান পাওয়া সম্ভব হয়। যদিও উদ্ধারের সময় নেটের ডাটা কানেকশন অফ অবস্থায় পায় তারা।  শুধু স্মার্ট-ফোন নয়, পুলিশের তদন্তে সাধারণত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য খুবই গুরুত্ব পায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেল, এই কেসে তারা না পেয়েছে কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর জবানবন্দী, না পেয়েছে ক্যাম্পাস থেকে শুরু করে রাস্তায় স্থাপিত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। আশ্চর্যের বিষয় এটাই যে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ক্যাম্পাসের পাওয়া...

এ জগৎ তোমার নয় | পর্ব-৭

ছবি
  পর্ব-৭ ৫. বাড়ি ফিরে ফ্রেশ হয়ে খেতে বসেছিল দিপা। এমন সময় মোবাইলে মেসেজ ফুটে উঠলো। লেখা আছে, “অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়ার আগে তোমাকে প্রথম ও শেষবারের মতো জানিয়ে দিতে চাই, কোনো ধরনের অন্যায় কৌতূহল তোমার জন্য খারাপ পরিণতি ডেকে আনতে পারে। তোমাকে খুব কঠিন অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হবে না। কোনো ভয়ঙ্কর অপরাধও করতে হবে না। তবে যে কাজ করবে, বিনিময়ে কয়েকশ’ পর্যন্ত বিটকয়েন তুমি আয় করতে পারবে। ” ম্যাসেজটা পড়া শেষ হতেই আরেকটা চলে আসার সাউন্ড ও পেলো।সেখানে লেখা আছে, “আগামীকাল তোমার ক্যাম্পাসের পাশে যে রিসার্চ সেন্টারটি আছে, দুপুর ১২:৩৫ এ সেখানে যাবে। তোমার সাড়ে ১২টার ক্লাস কাল হবে না। সেন্টারে ম্যাথিউস বলে এক লোক তোমাকে একটি এনভেলপ দেবে। সেটি নিয়ে তুমি দু’কিলো দূরে ওডেনটোন বাস স্টপে যাবে। ১:১০ এ লাল রুমাল হাতে এক আফ্রিকান-আমেরিকান নারী সেখানে আসবে। কোনো প্রশ্ন না করে তাকে সেটি দিয়ে তুমি ক্যাম্পাসে ফিরে আসবে। আগামীকালের অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করলে তোমার ই-ওয়ালেটে ৫ হাজার ডলার যোগ হতে দেখবে।মনে রেখ, এ কাজ সফল ভাবে করলে আরও কাজ পাবে। যার পারিশ্রমিক লাখ ডলার সমপরিমাণ বিটকয়েন; আর কাজ ভুল করলে কিংবা বিশ্বাসঘাতকতায় রয়ে...

এ জগৎ তোমার নয়! পর্ব- ৬

ছবি
৪. ডার্ক ওয়েবে লোকটির সঙ্গে চ্যাটিং করার এক পর্যায়ে হঠাৎ নিশ্চুপ হয়ে গেল অপর প্রান্ত। এরপর আরও দুটি প্রশ্ন করেও যখন জবাব মিললো না তখন বুঝলো, ওপ্রান্তের লোকটি কোনো কারণে আর কথা বলবে না। আবার সংযোগ বিচ্ছিন্নও হতে পারে। রহস্যময় অজানা প্রজেক্টটা নিয়ে দিপা এতটাই কৌতূহলী হয়ে উঠেছে যে, সময় কিভাবে পেরিয়ে যাচ্ছে- টেরও পায়নি। এখানে আর সময় নষ্ট না করে অন্য কারও কাছে খোঁজ নেবে বলে ঠিক করলো ও। কিন্তু অ্যানাদার ওয়ার্ল্ড প্রসঙ্গে খোঁজ শুরু করতেই ওর কম্পিউটারের মনিটর হঠাৎ কালো হয়ে গেল। এরপরই ওর শিরদাঁড়া বেয়ে ঠাণ্ডা অনুভূতি জাগিয়ে মনিটরে ফুটে উঠলো একটি লেখা। ‘We are watching you.’   ঝট করে সোজা হয়ে বসলো দিপা। ডার্ক ওয়েব থেকে গতানুগতিকভাবে বের না হয়ে দ্রুত কম্পিউটারের পাওয়ার অফ করে দিলো সে। আতংকিত দৃষ্টিতে চারপাশে তাকাতেই দেখতে পেল, পুরো ল্যাবে কোনো মানুষ নেই। তবে এক ব্যক্তি খুব মন দিয়ে কাকে যেন খুঁজছে। লোকটিকে সে চেনে না। কাকে খুঁজছে তাও জানে না। তবে তার অবচেতন মন বললো, লোকটি তাকে দেখার আগেই ল্যাব থেকে বের হয়ে যাওয়া উচিত। যদিও ও জানে লোকটির চোখ ফাঁকি দিলেও সিসি ক্যামেরার নাগাল এড়ানো যাবে না। তাও য...

এ জগৎ তোমার নয় (পর্ব-৫)

ছবি
  পর্ব- ৫ ৩. ইউনিভার্সিটির রুমে রুমে ঘুরে টানা কয়েকটা ক্লাস শেষ করে যখন ও ক্যাম্পাসের পার্কে এসে বসলো, তখন দুপুর গড়িয়ে গেছে। ক্ষুধাও লেগেছিল বেশ! ক্যান্টিন থেকে আগেই আনা খাবার আর কফির কাপটা বেঞ্চে রেখে মোবাইল পকেট থেকে বের করলো দিপা। ফোনে অনেকগুলো নোটিফিকেশন সে দেখতে পেল, তবে চোখ আটকে গেল বিশেষ সেই মেসেজে। সাথে সাথে ঘড়ির দিকে তাকালো দিপা। তাকে দেয়া পূর্ব-নির্ধারিত ৫ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। আর সেকারণেই তাকে মেসেজটা পাঠানো হয়েছে। তাড়াতাড়ি সে মেসেজটা ওপেন করলো। সেখানে লেখা আছে, “অ্যানাদার ওয়ার্ল্ডে স্বাগতম। তোমাকে এই মেসেজটা পাঠানোর অর্থ হচ্ছে, এই মুহূর্ত থেকে তুমি আমাদের ভুবনের বাসিন্দা হয়ে গেছ। এখন থেকে তোমার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ আমাদের। বিনিময়ে তুমি যা পাবে তা কল্পনাও করতে পারবে না। তবে একটা শর্ত আছে, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের এবং কাজের সকল তথ্য গোপন রাখতে হবে। জেনে রেখ, এখন থেকে তোমার প্রতিটি পদক্ষেপ আমাদের নজরে থাকবে। কোনো ধরনের বিশ্বাসঘাতকতার একটাই শাস্তি। সেটা কি, তা জানার দুর্ভাগ্য তোমার হবে না। পরবর্তী মেসেজের জন্য অপেক্ষা করো।” দিপার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে এলো। কৌতূহলের বশে এ কি করে বসেছে স...

এ জগৎ তোমার নয় (পর্ব ৪)

ছবি
দুই..  সাইটটিতে খুব বেশিক্ষণ হয়নি সে ঘোরাফেরা করছিল। একসময় তার মনে হলো, নিয়োগে সাড়া না দিলে তার আইপি তো এআই’এর জানা হয়ে যাবে, সন্দেহ করবে। তাই কৌশল করেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির একটি পদে সে আবেদন করে ফেললো।  সাইটটিতে ঘোরাফেরার সময় সে দেখেছিল, মূলত দু’ভাগে সাইটটি সাধারণ মানুষকে নিয়োগ দিয়ে থাকে। প্রথমটি বেসামরিক লোক, যারা তাদের বিভিন্ন পেশার সংশ্লিষ্ট মেধা দিয়ে এখানে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে গোপনে কাজ করে। অপর অংশটি সামরিক। এদের মধ্যে অধিকাংশই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা কিংবা সাধারণ সদস্য। কিন্তু এই দুই অংশের কাজ কি? সাইটে গোপনীয়তার কারণে তেমন কিছুই দেয়া হয়নি। তবে প্যাটার্ন দেখে দিপা আন্দাজ করে মূলত এক পক্ষ মানুষের কর্মকাণ্ডে হস্তক্ষেপ করে উদ্দেশ্য অনুযায়ী কাজ করে থাকে। আর অপর পক্ষ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে প্রয়োজনীয় সহিংস কাজগুলো করে থাকে। কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের সাপোর্ট দেয়ার কাজটাও করে থাকে এই অংশটি। প্রয়োজনে অপর অংশের সহযোগিতাও নেয়া হয়। কিন্তু এই দুই অংশের কি কাজ, তা স্পষ্ট করে বুঝতে পারলো না দিপা। শুধু এতটুকুই বুঝতে পারলো, কোনো মানুষ বা মানুষের সৃষ্ট প্রতিষ্ঠান এই প্য...